বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে বিদেশিদের পরিষ্কার ধারণা না থাকায় ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের রায় নিয়ে তারা নেতিবাচক মন্তব্য করছেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শ্রম আদালত ইউনূসের মামলায় রায় দিয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অভিযোগ স্বীকার করে নিলেই তো আর বিচার হতো না। সাজার রায়ের পর তো সবাই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। ড. ইউনূস সেই দাবিই করেছেন। বরং তিনি যদি নিজের দোষ স্বীকার করতেন, সেটাই ব্যতিক্রম হতো।’
সোমবার শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ইউনূসকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে ইউনূসসহ অন্য আসামিদের এক মাসের জামিন দেওয়া হয়।
ঢাকার শ্রম আদালতের রায়ের পর দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মাধ্যমে সমালোচনা ওঠে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মহাসচিব ও মানবাধিকারকর্মী আইরিন খান বলেছেন, সাজার রায়ে বিশ্বে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের কোনো অসম্মান হবে না। আন্তর্জাতিকভাবে তার সম্মান অটুট থাকবে। বরং তার বিরুদ্ধে রায়ের ফলে দেশেরই অসম্মান হবে, দেশের বিচার ব্যবস্থার অসম্মান হবে।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়।